শ্রীপুরে টয়লেট থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক


 জাতীয়সারাদেশরাজনীতিআন্তর্জাতিকখেলাধুলাঅর্থনীতিবিনোদনতথ্য প্রযুক্তিইসলাম ও ধর্মশেয়ারশিল্প ও সাহিত্যস্বাস্থ্য

  •   পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের
  •   মস্কোর কনসার্টে হামলায় নিহত বেড়ে ৯৩
  •   রাজনৈতিক ইস্যু না পেয়ে ভারত বিরোধিতায় বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
  •   বাজার সিন্ডিকেট চাঁদাবাজের চেয়েও ভয়ংকর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  •   জিম্মি এমভি আবদুল্লাহতে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র বসিয়েছে জলদস্যুরা

শ্রীপুরে টয়লেট থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:২২

facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button

নিজ ঘরের টয়লেটের ভেন্টিলেটরে ঝুলন্ত অবস্থায় আমেনা বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ নামিয়ে মেঝেতে রেখেই পালিয়ে গেছে তার স্বামী। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। রহস্যজনক এমন ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুরে।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রাম থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আমেনা বেগম (২০) শ্রীপুরের কড়ইতলা গ্রামের মৃত ফরিদুল আলমের মেয়ে এবং মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে চকপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে হয় আমেনা বেগমের। আনোয়ার হোসেন একজন রাজমিস্ত্রী এবং আমেনা বেগম গৃহিণী। বিয়ের পর থেকেই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেছিল। এরই জেরে শনিবার সকালেও তাদের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। পরে সকাল ১০ টার দিকে নিজ ঘরের টয়লেটের ভেন্টিলেটরে ওড়না গলায় পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আমেনা বেগমের লাশ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। পরে আশপাশের লোকজনের সহয়তায় নিহতের স্বামী ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশ নিচে নামায়। এরপর পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরপরই গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেন পালিয়ে যায়। মাওনা চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো: মিন্টু মিয়া যায়যায়দিনকে বলেন," নিহতের স্বজনরা ঘরের দরজা ভেঙে টয়লেটের ভেন্টিলেটরে ঝুলন্ত অবস্থায় আমেনার লাশ নামিয়েছিল। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে যা রহস্যজনক মনে হয়েছে বিধায় বিষয়টি সিনিয়র কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করবো"।


শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর খান যায়যায়দিনকে বলেন," খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু পারিবারিক কলহের কারণে মৃত্যু, সেহেতু হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে"।

যাযাদি/এসএস


Previous Post